সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বাবুগঞ্জের দেহেরগতি ইউনিয়নের পূর্ব দেহেরগতি এলাকার বড় হাওলাদার বাড়ির ১১ টি পরিবারের গলার কাঁটায় পরিনত হয়েছে একই বাড়ির জসিম উদ্দিন দম্পতি।
জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার একেরপর এক মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দায়ের করে বাড়ির সকলকে হয়রানিসহ নানারকম মানুষিক চাপে রেখে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। গতকাল জসিম উদ্দিন এর স্ত্রী সালমা আক্তারের দায়েরকৃত বাবুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগের সত্যতা জাছাইয়ে সরেজমিনে গেলে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল।
বাড়িতে জসিম উদ্দিনসহ ১২ টি পরিবার বসবাস করে। সবাই জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রীর বেপরোয়া আচারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওই বাড়ির সকল পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, বাড়িতে প্রবেশ পথের জন্য ৪/৫ হাত রাস্তা থাকলেও জসিম উদ্দিন রাস্তার দুই পাশের দুইটি পাকা দালান ভেঙ্গে রাস্তা বড় করার পায়তারা করছে। অথচ বাড়ির জমি বন্টনের সময় তাকে রাস্তার জন্য জমি রাখার কথা বলা হলে তিনি রাস্তার জমি দিতে অপারগতা জানিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি প্রবেশের কথা বলেছিলো।
জসিম উদ্দিনের পৌত্রিক সূত্রে বাড়িতে প্রাপ্ত ১০ শতক জমির উপর ৫তলা ফাউন্ডেশন করে বিল্ডিং করছে। পুরো ১০ শতক জমি ভোগ দখল করে এখন অন্যের পাকা ঘর ভেঙ্গে রাস্তা বড় করার অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে মামলা হামলার হুমকি ও হয়রানি মূলক অভিযোগ করে আসছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে জসিম তার নিজ প্রবাসী ভাই ও বোনদের পৌত্রিক সম্পত্তি থেকে গাঁয়ের জোরে বঞ্চিত করেছে। জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, বাড়িতে প্রবেশের যে রাস্তাটি রয়েছে তা আমাদের জমি। অথচ সে এখন আমাদের থাকার ঘর ভেঙ্গে রাস্তা বড় করার অযৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন করতে চায়। কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিতে থাকে।
অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক হাওলাদারের বড় ছেলে। সে একটি লাইসেন্স কৃত শর্টগান ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিআইপিদের চুক্তিভিত্তিক সুরক্ষা দেয়ার কাজ করেন। নাম প্রকাশ করার না শর্তে এলাকার অনেকই বলেন, জসিম ঢাকায় বডিগার্ডের চাকরি করে। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে হুঙ্কার তোলে। তার ব্যবহৃত অস্ত্রের ভয়ে আতংকিত এলাকাবাসী।
প্রশ্ন উঠেছে তার উপার্জনের বৈধতা নিয়ে। বডিগার্ডের চাকরির বৈধ উপার্জন দিয়ে কিভাবে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন করে বাড়ি তৈরি ও অর্থের দম্ভক্তি দেখানো সম্ভব? এদিকে তার ও স্ত্রী সালমা আক্তারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
Leave a Reply